পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ একটি পৌরসভা, ২টি উপজেলা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা। পটুয়াখালী সদরসহ গোটা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে রামনাবাদ নদী। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও ওই নদীতে সেতু নির্মাণ না করায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে দুই উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ। পুরাতন আমলের খেয়া নৌকাই এখানকার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার সঙ্গে পটুয়াখালী জেলা সদরসহ গোটা দেশের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ওই রামনাবাদ নদীর গলাচিপা হরিদেবপুর খেয়াঘাট পার হয়ে অফিস- আদালত, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন। সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় এখানে গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প-কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নদীর পূর্বপারে রয়েছে গলাচিপা উপজেলা সদর। পশ্চিম পাড়ের ইউনিয়নগুলোর শত শত মানুষকে প্রতিদিন নানা কাজে উপজেলা সদরে আসতে হয়। সরকারি অফিস ও অন্য কাজে আসার পাশাপাশি সাধারন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য নদী পার করে উপজেলা সদরে পৌছাতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন প্রতিদিন।
স্থাণীয় বাসিন্দা ও সংবাদ কর্মী আফনান তাজ বলেন, জরুরী কাজে যখন আমি পটুয়াখালী সদরে যাই তখন যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। খেয়া অনেক সময় পাওয়া যায় না। তাছাড়া রাতে খেয়া চলাচল বন্ধ থাকায় কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরা যায় না। শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম জানান পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনিস্টিউটে অধ্যায়নরত অবস্থায় রাঙ্গাবালী থেকে পটুয়াখালী যাতায়াত করতে হতো। কিন্তু প্রায় সময় অতিরিক্ত যাত্রী এবং অনিয়ন্ত্রিত খেয়া ভাড়ার কারনে মাঝির সাথে ঝগড়া হতো তার। সেতু ব্যবস্থা চালু হলে সকল জনসাধারনের চলাচলে সুবিধা হবে বলে জানান তিনি।
পটুয়াখালী-৪(গলাচিপা-দশমিনা আসন) এস,এম শাহজাদা (এম,পি) বলেন, পটুয়াখালী জেলা সদরের সঙ্গে গলাচিপা উপজেলাসহ উত্তর পশ্চিমাঞ্চরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিনিসহ সকলেই রামনাবাদ নদীর উপরে একটি সেতুর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গলাচিপা মানুষের দুঃখ রামনাবাদ নদীর উপর সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সকল মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply